চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত? জাদুকরী স্ক্যাল্প ম্যাসাজ টেকনিক ও নতুন চুল গজানোর পূর্ণাঙ্গ গাইড
দাদী-নানীর সেই তেল ম্যাসাজ কি আসলেই কাজ করে?
স্ক্যাল্প ম্যাসাজ আসলে কীভাবে কাজ করে? (সায়েন্স বনাম বিশ্বাস)
ম্যাসাজ করার আগে প্রস্তুতি: যা জানা জরুরি
চুল ঘন করার ৫টি কার্যকরী ম্যাসাজ টেকনিক
১. দ্য ট্র্যাডিশনাল সার্কুলার মোশন (Circular Motion)
পদ্ধতি: দুই হাতের আঙুলগুলো ছড়িয়ে মাথার তালুতে রাখুন। হালকা চাপে ছোট ছোট বৃত্তাকারে (Clockwise motion) আঙুল ঘোরান। এক জায়গায় ৫-১০ সেকেন্ড করে ম্যাসাজ করে আঙুল সরিয়ে অন্য জায়গায় নিন। কখনোই খুব জোরে ঘষবেন না, এতে চুল ছিঁড়ে যেতে পারে। সময়: পুরো মাথায় ৫ থেকে ১০ মিনিট।
২. ইনভারশন মেথড (The Inversion Method)
পদ্ধতি: একটি চেয়ারে বা খাটের কিনারায় বসে মাথাটা নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিন (যাতে হার্ট লেভেলের নিচে মাথা থাকে)। এতে মাথায় রক্তপ্রবাহ দ্রুত বাড়ে। এই অবস্থায় ৪-৫ মিনিট হালকা হাতে তেলের ম্যাসাজ করুন। সতর্কতা: যাদের হাই প্রেশার, ভার্টিগো বা মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তারা এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলবেন। মাসে একটানা ৭ দিনের বেশি এটি করা উচিত নয়।
৩. ট্যাপিং ম্যাসাজ (Tapping Technique)
পদ্ধতি: আঙুলের ডগা দিয়ে ড্রাম বাজানোর মতো করে পুরো মাথায় আলতো করে টোকা দিন। খুব জোরে বাড়ি দেবেন না। আলতো টোকায় স্নায়ুগুলো রিল্যাক্স হয় এবং রক্তপ্রবাহ বাড়ে। এটি স্ট্রেস কমাতেও দারুণ কাজ করে। আর আমরা জানি, স্ট্রেস বা টেনশন চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
৪. পিঞ্চিং বা চিমটি ম্যাসাজ (Gentle Pinching)
পদ্ধতি: দুই আঙুল দিয়ে স্ক্যাল্পের চামড়া আলতো করে ধরে হালকা একটু ওপরে তোলার চেষ্টা করুন এবং ছেড়ে দিন। মনে রাখবেন, চুল টানবেন না, শুধু চামড়াটা ধরার চেষ্টা করবেন। এটি স্ক্যাল্পকে ফ্লেক্সিবল বা নমনীয় করতে সাহায্য করে।
৫. অয়েল বনাম ড্রাই ম্যাসাজ
অয়েল ম্যাসাজ: সপ্তাহে ১-২ দিন তেল দিয়ে ম্যাসাজ করা ভালো। এতে চুলে পুষ্টি ঢোকে। নারিকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে নিলে ফল ভালো পাওয়া যায়। ড্রাই ম্যাসাজ: তেল ছাড়াও আপনি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে শুকনো চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি আপনাকে গভীর ঘুমে সাহায্য করবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।
বাংলাদেশী আবহে কোন তেলটি সেরা?
খাঁটি নারিকেল তেল: সব ঋতুর জন্য সেরা। এতে লরিক এসিড থাকে যা চুলের প্রোটিন ক্ষয় রোধ করে। সরিষার তেল: গ্রামের দিকে এখনো অনেকে ব্যবহার করেন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, তবে খুব আঠালো হওয়ায় ধুলোবালি টানে। তাই ব্যবহারের পর ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে। কালোজিরার তেল: 'মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ওষুধ' বলা হয় কালোজিরাকে। চুল পড়া বন্ধে এর জুড়ি নেই। পেঁয়াজের রস ও তেল: নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের সালফার ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তেলের সাথে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে টাক পড়া রোধ করা সম্ভব।
ম্যাসাজ নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা (Myths vs Facts)
আধুনিক গ্যাজেট: স্ক্যাল্প ম্যাসাজার ব্রাশ
উপকারিতা: এটি হাতের চেয়ে ভালোভাবে স্ক্যাল্প পরিষ্কার করে এবং মরা চামড়া দূর করে। ব্যবহার: শ্যাম্পু ফেনা করার পর এটি দিয়ে হালকা হাতে গোল গোল করে ম্যাসাজ করুন। তবে প্লাস্টিকের সস্তা ও ধারালো ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
কাদের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ নিষিদ্ধ?
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQs)
উপসংহার
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)